সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাদ্য যা আমরা খেতে পারি..!!
প্রতিদিন দুটো করে খেজুর খান আর দেখুন আপনার স্বাস্থ্যের কি উন্নতি হয়। সত্যি কথা বলতে কি আমরা যখন স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা ভাবি তখন আমাদের মাথায় খেজুরের কথা আসে না। আর সেটাই অনাকাঙ্খিত ব্যাপার কারণ ফলটির অজস্র অনস্বীকার্য উপকারিতা রয়েছে।
শরীরের শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়ঃ
ক্রমাগত চাপ আর মস্তিষ্কের কাজের জন্য আমরা দুপুরের মধ্যে ক্লান্তি অনুভব করি। কিন্তু আপনি যদি সারাদিন আপনার শক্তি ধরে রাখতে চান আর দুপুরের মতো বিকেলেও যদি উৎপাদনশীল থাকতে চান তাহলে আপনার খাবারে খেজুর যোগ করুন। এই ফলটিতে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিক চিনি যেমন: গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ এবং সুক্রোজ রয়েছে। আর এগুলো আপনার প্রয়োজনীয় শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে বলে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ফুড সায়েন্সেস এন্ড নিউট্রিশন এ প্রকশিত এক নিবন্ধে দেখা গেছে। গবেষণাটিতে দেখা গেছে পরিশ্রান্তির সময় কয়েকটি খেজুর চিবুলে তখুনি শরীরে শক্তির মাত্রা বেড়ে যায়। যখনই আপনি শ্রান্তি অনুভব করবেন তখনই এই কৌশলটি অবলম্বন করবেন।
কোলস্টেরলের মাত্রা কমায়
আপনার কোলস্টেরলের মাত্রা কমে যাবে যদিও খেজুর খুব মিষ্টি কিন্তু ওগুলোতে খুব কম স্নেহ পদার্থ রয়েছে। নিয়মিত খেজুর খেলে আপনার কোলস্টেরলের মাত্রায় ভারসাম্য থাকবে আর এগুলো আপনার ওজন কমতে সাহায্য করবে। উঁচু কোলস্টেরল শুধু আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় কোলস্টেরল হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। দিনে দুটি খেজুর খেয়ে আপনি শুধুমাত্র আপনার শরীরের দেখভাল ই করবেন না বরং ভিতর থেকে শরীরকে রক্ষা করবেন।
পরিপাকতন্ত্র উন্নত করেঃ
আপনার পরিপাকতন্ত্র আরো কার্যকর হবে। পরিপাকতন্ত্র আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ আর এটি আমাদের সর্বোপরি স্বাস্থ্য তৈরি করতে পারে আর এতে সামান্য খুঁত থাকলে শরীর ভেঙ্গে যেতে পারে। খেজুর মুহূর্তের মধ্যে আপনার পরিপাকতন্ত্র ঠিক করতে পারে। খেজুরে দ্রবণযোগ্য আঁশ থাকে যা পরিপাকতন্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত ভালো আর ওগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা কিছু খেজুর রাতভর ভিজিয়ে রেখে সকালে ওগুলো খাওয়ার নির্দেশ দেন যা খেজুরের প্রাকৃতিক স্বক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় আর আপনার পরিপাকতন্ত্রকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ
খাবারের সঙ্গে আমরা যে অতিরিক্ত সোডিয়াম ও লবন খাই কখনো কখনো তার ফল হলো উচ্চ রক্তচাপ। খেজুরে কোন সোডিয়াম থাকে না বরং ওগুলোতে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম থাকে যা সোডিয়াম শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। এজন্য খেজুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এতো ভালো কাজ করে। এজন্য আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে আর আপনি যদি অধিক প্রাকৃতিক সমাধান খুঁজতে থাকেন তাহলে ফলটির দিকে বেশি মনোযোগ দিন।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করেঃ
পরিপূর্ণ চোখের দৃষ্টিসহ কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। কম্পিউটার ও ফোনের স্ক্রিনে কাজ বা পড়ালেখা করার কারণে আমাদের চোখের স্বাস্থ্য আক্রান্ত হয়। সৌভাগ্যবশত অনেকগুলো প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর খাবার আছে যা আমাদের সাহায্য করতে পারে আর খেজুর ওগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই ফলটি বেশি মাত্রায় ভিটামিন এ থাকে যা আপনার চোখে যথোপযুক্ত মাত্রার পুষ্টি যোগায়। আর এতে আপনার দৃষ্টিশক্তি শক্তিশালী হয়। সুতরাং দৃষ্টিশক্তি খারাপ হওয়া যদি আপনার সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় বা সমস্যাটি যদি সহনযোগ্য মাত্রার হয় তাহলে খেজুর আপনার চোখের অবস্থা অনেক ভালো করতে পারবে।
হাঁড়ের যত্ন নেয়ঃ
এটি কোন গোপন বিষয় নয় যে আমরা যতো বৃদ্ধ হই আমাদের হাঁড় ততো ভঙ্গুর হয়ে যায় আর এই সমস্যাগুলো সহজে ভালো হয় না। এতে প্রচন্ড ব্যাথা হয় শরীরে। শরীরে বিকলঙ্গতার সৃষ্টি হওয়াসহ অনেক অপ্রীতিকর ব্যাপার ঘটতে পারে। খেজুরে প্রচুর পরিমানে ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আছে। এই খনিজগুলো অস্টিওপেরোসিসসহ হাঁড়ের রোগগুলো ভালো করার ব্যাপারে সুপরিচিত। এজন্য, আপনি যদি আপনার হাঁড়কে অতিরিক্ত কিছু দিতে চান তাহলে খেজুর খাওয়া একটি ভালো কৌশল হিসেবে পরিগণিত হবে।